জল নিচের যোগাযোগ কেবল
জলপূর্ণ যোগাযোগ কেবল, যা সাবমেরিন কেবল হিসাবেও পরিচিত, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মূলধারণা গঠন করে, যা প্রায় ৯৯% আন্তর্জাতিক ডেটা ট্রাফিককে বহন করে। এই অতুলনীয় প্রকৌশলীয় উদ্ভাবনগুলি বহু সুরক্ষিত স্তরের মধ্যে রয়েছে ফাইবার অপটিক কেবল, যা গভীর মহাসাগরীয় গভীরতা এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কেবলগুলির ব্যাস সাধারণত ৬৯-৮৯ মিলিমিটারের মধ্যে এবং এগুলি বিশেষজ্ঞ জাহাজের মাধ্যমে মহাসাগরের তলায় সতর্কতার সাথে বিছানো হয়। এদের কেন্দ্রে রয়েছে ওপটিক ফাইবার, যা আলোর সংকেত ব্যবহার করে ডেটা বহন করে, যা উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন যোগাযোগ এবং বিশাল সাগরীয় দূরত্বের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব করে। এই প্রযুক্তি সহজে হাজার হাজার কিলোমিটারের মাধ্যমে সংকেতের শক্তি বজায় রাখতে নিয়মিত ব্যবধানে সূক্ষ্ম সংকেত বৃদ্ধি ব্যবস্থা এবং রিপিটার ব্যবহার করে। আধুনিক জলপূর্ণ কেবলগুলি প্রতি সেকেন্ডে ১০০ টেরাবিটেরও বেশি গতিতে ডেটা বহন করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা এবং আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেবল ব্যবস্থাগুলিতে সোफ্টওয়্যার নিরীক্ষণ সরঞ্জাম রয়েছে যা সম্ভাব্য ক্ষতি বা ব্যাঘাত সনাক্ত এবং অবস্থান করতে পারে, যা সतতা অপারেশন নিশ্চিত করতে দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনুমতি দেয়।